Relative Strength Index (RSI)

2
903
Relative Strength Index
সর্বশেষ আপডেট: May 1, 2023
প্রত্যাশিত পড়ার সময়: 3 মিনিট

Relative Strength Index যা সংক্ষেপে RSI নামে পরিচিত, একটি জনপ্রিয় টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর যা মুলত কারেন্সি পেয়ার এর শক্তি পরিমাপ করে মুলত এর বর্তমান মুভমেন্টকে একটি নির্দিষ্ট টাইমফ্রেমে পূর্বের মুভমেন্ট এর সাথে তুলনা করে।

RSI ইন্ডিকেটরটি সর্বপ্রথম ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত একটি বইয়ে  “New Concepts in Technical Trading Systems.” উপস্থাপন করেন J. Welles Wilder Jr.

এটিকে বলা হয় momentum indicator যার অর্থ হচ্ছে, কারেন্সি পেয়ার এর মুভমেন্ট এর গতি এই ইন্ডিকেটরটি পরিমাপ করতে থাকে যার মাধ্যমে বোঝা যায়, কারেন্সি পেয়ার এর মোমেন্টাম শক্তিশালী নাকি দুর্বল হচ্ছে।

মোমেন্টাম ছাড়াও, এই ইন্ডিকেটরটি ট্রেডারদের Overbought এবং Oversold পজিশন সম্পর্কে জানতে সহায়তা করে থাকে এছাড়াও, চার্টে কোনও ধরনের ডাইভারজেন্স তৈরি হচ্ছে কিনা সেটিরও নির্দেশনা প্রদান করে থাকে।

RSI Indicator টি কিভাবে কাজ করে, কিভাবে এটি ব্যবহার করে ট্রেড করবেন, এন্ট্রি গ্রহন কিভাবে করবনে, বিস্তারিত বিষয়গুলো ভিডিও টিউটোরিয়াল এর মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে। অনুগ্রহ করে নিচের ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন।

ইন্ডিকেটরটির মুলত একটি পরিমাপণ স্কেল রয়েছে 0 থেকে 100 পর্যন্ত। এই ভ্যালু দেখার মাধ্যমে ট্রেডার বুঝতে পারে, কারেন্সি পেয়ার এর অবস্থান এবং সম্ভাব্য মুভমেন্ট সম্পর্কে।

পরিচিতি

চার্টে যখন এই ইন্ডিকেটরটি প্লট করবেন তখন একটি লাইনের মাধ্যমে নিচের বিষয়গুলো বিবেচনা করার মাধ্যমে এটি ক্যালকুলেট করে আপনার চার্টে প্রদর্শিত হবে।

  • নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কারেন্সি পেয়ার এর এভারেজ গেইন,
  • নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কারেন্সি পেয়ার এর এভারেজ লস।

এই দুইটি বিষয়ের হিসাব করার মাধ্যমে রেশিও আকারে 0 থেকে 100 এর মধ্যে চার্ট এই RSI ইন্ডিরকেটর এর ভ্যালু দেখতে পাবেন। যেখানে এই রিডিংগুলোর ভিন্ন ভিন্ন সিগন্যাল প্রদান করে।

  • রিডিং এর মান যদি ৫০ এর উপরে থাকে, তাহলে এটি আপট্রেন্ড এর সংকেত প্রদান করে।
  • রিদিং এর মান যদি ৫০ এর নিচে থাকে, তাহলে এটি ডাউনট্রেন্ড এর সংকেত প্রদান করে।

RSI ইন্ডিকেটর এর ভ্যালু যদি 30 এর নিচে নেমে আসে তাহলে এটি Oversold এর নির্দেশ করে অন্যদিকে যদি রিডিং 70 এর উপরে চলে আসে তাহলে Overbought এর সিগন্যাল প্রদান করে। অর্থাৎ, এই ইন্ডিকেটর নিয়ে কাজ করতে হলে তিনটি সম্ভাব্য পজিশন চিন্তা করতে হবে।

  1. 0-30: Oversold (OS) area
  2. 30-70: Neutral area
  3. 70-100: Overbought (OB) area

ডিফল্ট হিসাবে এই ইন্ডিকেটরে 14 periods সেটিং করা থাকে। তবে ট্রেডার চাইলে নিজ ইচ্ছা মতন যেকোনো পরিয়ড সেট করে ইন্ডিকেটরটি ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণত, সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমের চার্ট এর জন্য সর্বনিম্ন ২ পরিয়ড এবং ছোট টাইমফ্রেম এর জন্য ২৫ পরিয়ড এর ব্যবহার করতে দেখা যায় সবথেকে বেশী।

ট্রেডে ব্যবহার

Relative Strength Index (RSI) বিভিন্ন উপায়ে ট্রেডে ব্যবহার করা যায়। এটি মুলত নির্দেশ করেঃ

  • নতুন ট্রেন্ড গঠিত হচ্ছে কিনা, এটি নির্ধারণে।
  • প্রাইস কখন Overbought কিংবা Oversold পজিশনে চলে এসেছে সেই লেভেলগুলো নির্ধারণে।
  • যেকোনো ধরনের রিভার্সাল সংগঠিত হওয়ার নির্দেশক হিসাবে।

এখন চলুন জেনে নেয়া যাক, কিভাবে এই ইন্ডিকেটরটি সিগন্যাল প্রদান করে এবং কিভাবে এটিকে ট্রেডে ব্যবহার করা হয়।

Overbought/Oversold (Trend Reversal)

প্রাইস যখন নিম্নমুখী থাকে কিংবা নিচের দিকে নামতে থাকে তখন RSI এর ভ্যালু 0 এর দিকে অগ্রসর হতে থাকে। অন্যদিকে, যদি প্রাইস উপরের দিকে যেতে থাকে তখন রিডিং এর ভ্যালু 100 এর দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। এই ভ্যালুর মান যত কম কিংবা বেশী হবে এটি ততশক্তিশালী কারেন্সি পেয়ার এর “overbought” কিংবা “oversold” পজিশন এর নির্দেশনা প্রদান করবে।

মনে রাখবেন,

  • রিডিং এর মান 70 এর উপরে থাকার অর্থ হচ্ছে Overbought পজিশন
  • রিডিং এর মান 30 এর নিচে থাকার অর্থ হচ্ছে Oversold পজিশন

Overbought বলতে বোঝায়, প্রাইস এর বিদ্যমান আপট্রেন্ড শেষ হতে চলেছে এবং কিছু সময়ের মধ্যে প্রাইস নেমে আসতে পারে।

Oversold বলতে বোঝায়, প্রাইস এর বিদ্যমান ডাউনট্রেন্ড শেষ হতে চলেছে এবং কিছু সময়ের মধ্যে প্রাইস উপরে বাউন্স করতে পারে।

Convergence/Divergence

  • Convergence: হচ্ছে যখন RSI ইন্ডিকেটর প্রাইস এর সাথে সাথে একই দিকে অবস্থান করতে এবং অগ্রসর হতে থাকে। এটি মুলত বিদ্যমান বুল্লিশ মোমেন্টাম শক্তিশালী হয়ে আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সিগন্যাল প্রদান করে।
  • Divergence: হচ্ছে যখন RSI এর ভ্যালু কারেন্সি পেয়ার এর ট্রেন্ড এর বিপরীতদিকে মুভ করতে থাকে যা সম্ভাব্য বিদ্যমান ট্রেন্ড এর শক্তি হ্রাস এবং মোমেন্টাম কমে আসার সিগন্যাল প্রদান করে থাকে।
যখন দেখবেন, চার্টে ইন্ডিকেটর এর ভ্যালু overbought কিংবা oversold পজিশনে চলে এসেছে তখন এটি আপনাকে সংকেত হিসাবে সিগন্যাল প্রদান করবে যেখানে আপনাকে বুঝতে হবে, বিদ্যমান ট্রেন্ড যেকোনো সময় পরিবর্তিত কিংবা শেষ হতে পারে।

তবে এই overbought কিংবা oversold পজিশনে আসা মানেই নতুন করে প্রাইস রিভার্সাল পজিশনে আসবে সেটির কোনও গ্যারান্টি নেই। এটি শুধুমাত্র আপনাকে ট্রেন্ড সম্পর্কে সতর্ক করবে।

ডাইভারজেন্স সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে এবং শিখতে পারবেন, ডাইভারজেন্স ট্রেডিং কোর্সটি থেকে। অনুগ্রহ করে বিশেষ তথ্য জানার জন্য এই কোর্সটিতে অংশ নিতে পারেন। কোর্সটিতে ডাইভারজেন্স সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারবেন।

আশা করি আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে। এই আর্টিকেল সম্পর্কিত বিশেষ কোনও প্রশ্ন থাকলে আমাদের জানাতে পারেন কিংবা নিচে কমেন্ট করতে পারেন। প্রতিদিনের আপডেট ইমেইল এর মাধ্যমে গ্রহনের জন্য, নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করে নিতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো টিউটোরিয়াল দেখার জন্য অনুগ্রহ করে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন। এছাড়াও, যুক্ত হতে পারেন আমাদের ফেইসবুক এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে। এছারাও ট্রেড শিখার জন্য জন্য আমাদের রয়েছে বিশেষায়িত অনলাইন ট্রেনিং পোর্টাল।

কপি করুন আমাদের এক্সপার্টদের ট্রেড। জানুন বিস্তারিত

আরটিকেল সম্পর্কে মতামত
খারাপ 0 13 of 13 found this article helpful.
Views: 987

আরও জানুন

পূর্ববর্তী: Stochastic
পরবর্তী: Bollinger Bands
পূর্বের আর্টিকেলXM Registration
পরবর্তী আর্টিকেলBollinger Bands
নতুনদের ফরেক্স ট্রেডিং সংক্রান্ত সকল ধরণের সহায়তা করার জন্য ,ফরেক্স বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই আমরা প্রায় ২২০০+ অধিক ট্রেডারকে, ফরেক্স ট্রেডিং সংক্রান্ত সঠিক দিক নির্দেশনা প্রদান করে আসছি এবং আমাদের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি। ফরেক্স ট্রেডিং সংক্রান্ত আপনার যেকোনো সহায়তার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ ।

2 কমেন্ট

কমেন্ট/প্রশ্ন করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here